বাংলাদেশ একটি জনবহুল উন্নয়নশীল দেশ, বিশাল এই জনসংথার বিপরীতে চাকুরির ক্ষেত্র অনেকটাই অপ্রতুল। যেকোন একটা Job পাওয়াই যেন সোনার হরিণ হাতে পাওয়া। তবে একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যার সুফল এখনও আমরা নিতে পারছিনা তা হল উচ্চশিক্ষায়/গবেষণায় বিদেশে গমন এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি। অনেক উন্নত দেশের student রা দেশের ভিতরের এবং বাহিরের Job ক্ষেত্রগুলোকে সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকে কিন্তু আমরা এখনও নিজদেশে একটা Job পাওয়াকেই একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাই…!
উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল আর Scholarship ছাড়া অনেকটাই কষ্টসাধ্য, সহজেই কিভাবে Scholarship manage করা যায় এবং Scholarship নিয়ে আমাদের সমাজের কিছু ভুল ধারণার আলোকপাত করাই আজকের এ লেখার উদ্দেশ্য।
- অনেকেই Newsletter web-portal (যেমন “Scholarship position”, “Scholarship link” ইত্যাদি)এ Subscribe করে রাখে যেখানে থেকে বিভিন্য Open position/ Scholarship এর Update দেয়া হয়, এটা একদিক থেকে ভাল যেমন কি কি ধরনের Scholarship আছে, Eligible Criteria কি? ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অন্যদিকে অনেকেই Open position এর জন্য apply করে বার বার ব্যর্থ হয়ে application করার আগ্রহই হারিয়ে ফেলে, মনে রাখতে হবে এগুলোর অধিকাংশই Open position যেগুলো পাওয়া অনেক অনেক বেশি কঠিন ।
- অতএব, Open posiiton এর উপর নির্ভরশীল না হয়ে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের Professor দের সাথে Personal contact করে Scholarship এর জন্য apply করাই সহজতর উপায। সেজন্য পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের Website browse করে পছন্দের Topic নিয়ে কাজ করেন এমন Professor খুজে বের করে তাদেরকে Research interest জানিয়ে email করতে হবে ।Professor দের “email ID” website থেকেও পাওয়া যায় আবার উনাদের Publication এর সুত্র ধরে Journal থেকেও পাওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে email যেন একেবারে সংক্ষিপ্ত না হয় এবং যথেষ্ট Motivation যেন থাকে । সকল email এর Reply আসবে না এ্টা ঠিক তবে হতাশ হওয়া যাবে না ।
- ভাল Scholarship এর জন্য ভাল Result এর ভুমিকা নেই এটা যেমন ভুল তেমনি, অনেক ভাল result ছাড়া Scholarship হবে না এটারও কোন ভিত্তি নেই । MS বা PhD এর জন্য ভাল Result, Research potentiality, ভাল কোন Journal এ published article আছে কিনা ইত্যাদি দেখা হয়। তাই ভাল Result এর পাশাপাশি ভাল Journal এ Paper publish করে ফেলাও বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এমনকি Bachelor সময়ে কোন স্যার বা ম্যাডামের সাথে research করে Co-author হিসেবে Article publish করে ফেলা যায়।
- English Language Proficiency অনেকাংশেই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি Scholarship application এর ব্যাপ্তি ও প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। যদিও অনেকের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তবে আমি মনে করি একবার সাহস নিয়ে ইচ্ছে করলেই ভাল একটা Score অর্জন করা সম্ভব। কারণ এটা আমাদের ভয়, আমাদের জন্য অসম্ভব নয় 🙂
- বাংলাদেশে বেশ কিছু Organization আছে(যেমন British council, IDP ইত্যাদি) যেখানে বিভিন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা আসেন Spot admission দেবার জন্য এমনকি Scholarship ও দেয়া হয় । তাই এদের সাথে যোগাযোগ রাখা (Websites are available) এবং কখন বা কোথায় এ ধরনের Program আছে সেগুলো সম্পর্কে update থাকলে মন্দ হয় না ।
যারা Scholarship পেতে আগ্রহী তারা এই লেখাটা পড়ে কিছুটা হলেও Guideline পাবে। বিভিন্ন Scholarship এর Eligible Criteria, Application Procedure ভিন্ন্ ভিন্ন্ হলেও আশা করি সেগুলো নিজেরাই বুঝতে পারবে, এর পরেও কোন পরামর্শের প্রয়োজন হলে অনেকেই আছেন যারা উন্নত দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন বা করছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করবে……
******So Best of Luck…………!*******